টাঙ্গাইলের একটি মানহানীর মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন যুগধারা সম্পাদক হাবিবুর রহমান সরকার।
টাঙ্গাইলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪ নং আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছাঃ রুমি খাতুন ১০ এপ্রিল ২০২২ খ্রিঃ মঙ্গলবার ওই রায় ঘোষণা করেন।

জানা যায়, টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার দেউপুর গ্রামের মৃতঃ আব্দুস সাত্তারের পুত্র জনৈক ইন্জিনিয়ার লিয়াকত আলী ১৯/১১/২০১৭ সালে টাঙ্গাইলের বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কালিহাতী আমতলী আদালতে বাংলাদেশ দন্ডবিধিঃ ৫০০/৫০১ ধারায় এক কোটি টাকার মানহানির দায়ে তদানীন্তন সাপ্তাহিক যুগধারা’র ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক মোঃ হাবিবুর রহমানের একটি মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর ৪৫৭/২০১৭ ।

মামলার বিবরনে জানা যায়, সাপ্তাহিক যুগধারায় “হাইব্রিড আওয়ামীলীগার লিয়াকত আলীর রাজনীতি -১ কালিহাতীর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে তিনি হ য ব র ল সৃষ্টি করেছেন।

বি এন পি জামাতের সংগঠনের প্রাণ ভোমরা হিসাবে উল্লেখ, আওয়ামী লীগে আত্মকলহ, তাকে কেউ মানতে পারছেনা, হাইব্রিড আওয়ামীলীগার থেকে মুক্তি চায় নেতা কর্মীরা ।

“হাইব্রিড আওয়ামীলীগার লিয়াকত আলীর রাজনীতি-২ প্রকাশিত সংবাদটি কালিহাতী তথা টাঙ্গাইলের আওয়ামী রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়, হঠাৎ উড়ে এসে জুড়ে বসা ওই হাইব্রিড নেতা আওয়ামীলীগের মত ঐতিহ্যবাহী দলে কিভাবে এতো গুরুত্বপূর্ণ পদ পেল তা নিয়ে চলছে কানাঘুষা, এবং অর্থের বিনিময়ে দলের ও জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়া বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ হওয়ার তার মানসম্মান ক্ষুন্ন করা হয়েছে বলে দাবী করে এককোটি টাকার মানহানির মামলা রুজ্জু করেন।

দীর্ঘদিন ওই মামলা আদালতে চলমান কালে তদন্তকারি কর্মকর্তার প্রতিবেদন, স্বাক্ষ্য প্রমাণ, জেরার চুলচেরা বিশ্লেষন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪ নং আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোছাঃ রুমি খাতুন ইন্জিনিয়ার লিয়াকত আলীর আনীত অভিযোগ থেকে যুগধারা ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক, মোঃ হাবিবুর রহমানকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেন।

মামলার বাদী ইন্জিনিয়ার লিয়াকত আলীর পক্ষে আইনী লড়াই করেন সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট মঈদুল ইসলাম শিশির ও যুগধারা সম্পাদকের পক্ষে আইনী লড়াই করেন এডভোকেট রফিকুল ইসলাম ।

আদালতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দৈনিক যুগধারা সম্পাদক সরকার হাবিব বলেন, আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি, সে জন্য মহান আল্লাহ’র কাছে শুকরিয়া আদায় করছি এবং আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তিনি দুঃখ করে বলেন, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের নিবর্তনমূলক ৫০০/৫০১ দন্ডবিধি প্রয়োগ অনাকাঙ্ক্ষিত।

তিনি আরো বলেন, আমি অসত্য ষড়যন্ত্র মামলায় দীর্ঘদিন হয়রানির শিকার হলেও বিচারে ন্যায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, ষড়যন্ত্র ও অসত্য পরাজিত হয়েছে।

আজকের ঐতিহাসিক রায়ে আবারও প্রমাণিত হলো টাকার চেয়ে সাংবাদিকের কলম অনেক শক্তিশালী